ক্যাম্পাসের উন্নয়ন ও সংস্কার: শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন সুযোগ ও পরিবেশ!

Post Image

খাদিজাতুল তাবাসসুম লিজা, এনসিএইচই প্রতিনিধি: শিক্ষর্থীদের বেশ কিছু দাবি মেনে ক্যাম্পাসে সংস্কারের কাজ চলমান।

  ইতোমধ্যে অনেক বিষয়ের পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করা হয়েছে।   ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান অনুষদের একটি স্বতন্ত্র ইউনিট হিসেবে প্রতিবছর ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে হাজারো শিক্ষার্থী ভর্তি হয় গার্হস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের ৬ টি কলেজে। ন্যাশনাল কলেজ অব হোম ইকোনমিক্সও (এনসিএইচই) তন্মধ্যে একটি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অঙ্গীভুত প্রতিষ্ঠান হওয়া স্বত্বেও এই প্রতিষ্ঠানের কিছু বিষয়ে এতদিন সংস্কার করা হয়নি। যার জন্য ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদেরও। 

  সম্প্রতি ২৩ টি দাবি সহ একটি নথি পেশ করা হয়েছে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কাছে। শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিগুলি মেনে ইতোমধ্যে সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে এবং বেশ কিছু নতুন পরিবর্তন ক্যাম্পাসে এখন দেখা যায়। যেমন-ল্যাবে পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি সংযোজন, মাল্টিমিডিয়া প্রদান (পরবর্তীতে আরো বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন), লাইব্রেরিতে বইয়ের সংখ্যা বৃদ্ধি, নামাজের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা প্রদান, নিরাপদ পানির স্থায়ী ব্যবস্থা, স্যানিটারি বুথ, প্রতিটি বর্ষে সমন্বয়কারি শিক্ষক নির্ধারণ এবং  উক্ত শিক্ষকদের সাথে তিন মাস অন্তর শিক্ষার্থীদের একটি মত বিনিময় সভার আয়োজন। এছাড়াও আরো বেশ কিছু পরিবর্তন আগের তুলনায় লক্ষ করা যায় এই ক্যাম্পাসে।   শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই সংস্কার কর্মসূচি নিয়ে ব্যাপক উদ্দীপনা দেখা গেছে। দেশ সংস্কারের সাথে সাথে ক্যাম্পাস সংস্কারের এই ব্যাপারটি শিক্ষার্থীরাও বেশ ইতিবাচক ভাবে দেখছেন বলে জানিয়েছেন।  

শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিগুলি মেনে প্রয়োজন মতো ব্যবস্থা গ্রহণ করে প্রশাসন, শিক্ষক মহোদয় এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীর পক্ষ হতে দ্রুততার সাথে সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। এর ফলে বেশ কিছু নতুন  পরিবর্তন  ক্যাম্পাসে এখন দেখা যায়।

অধ্যক্ষ এবং শিক্ষকমণ্ডলীরা জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীদের উন্নত ও নিরাপদ পরিবেশে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ দেওয়ার লক্ষ্যেই এই সংস্কার কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও কিছু উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়ন করার পরিকল্পনা রয়েছে, যাতে শিক্ষার্থীদের জন্য আরও আধুনিক সুযোগ-সুবিধা, শিক্ষার্থীদের জন্য একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। উন্নত অবকাঠামো, আধুনিক প্রযুক্তি এবং সুন্দর পরিবেশে তারা এখন আরও ভালোভাবে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে। এ ধরনের উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ সাফল্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।



শেয়ার করুন

0 coment rios: